স্বদেশ ডেস্ক:
মাসিক ভাতা বৃদ্ধি, বকেয়া ভাতা পরিশোধ ও ভাতা নিয়মিত দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পোস্টগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে সাত দিন সময় চেয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তবে তার একটু পরই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা যদি কর্মবিরতিতে যেতে চায়, তাহলে কিন্তু ‘‘কোর্স আউট’’ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, এটা যেন তারা মাথায় রাখে। আমাদের আইনে আছে, কোনো শিক্ষার্থী যদি টানা তিনদিন ক্লাসে উপস্থিত না থাকে, তাহলে তাদের বের করে দেওয়া যাবে।’
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তারা আমাদের সন্তানের মতো। তাদের আমরা বুঝিয়ে বলেছি যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সচিবের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি পূরণের চেষ্টা করব। তারপরও যদি তারা কর্মবিরতিতে যায়, তাহলে তারা ‘‘কোর্স আউট’’ হয়ে যেতে পারে।’
চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে বিএসএমএমইউ-এর স্বাস্থ্যসেবায় কোনো প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা তো ডাক্তার নয়, তারা আমাদের ছাত্র। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসক আছেন, রোগী সেবায় তাদের দরকার নেই। তাদের ছাড়াও আমাদের চলবে। আমরা আমাদের সেবা পুরোদমে চালিয়ে যাব।’
এর আগে, মঙ্গলবার সকাল থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেন। এ ঘটনায় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটেছে।
বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিএসএমএমইউ উপাচার্য কার্যালয়ে অবস্থান নেন চিকিৎসকেরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা কার্যালয় ছাড়তে না চাইলে দায়িত্বরা পুলিশ সদস্য ও আনসাররা চিকিৎসকদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মচারীরা আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ভাষ্য, দাবি পূরণে বারবার আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেন উপাচার্য। আজ তারা দাবি নিয়ে এসেছেন। শান্তিপূর্ণভাবেই অবস্থান করলেও ভিসি চলে যাওয়ার পর তাদেরকে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। একপর্যায়ে ভেতর থেকে তাদের ওপর বোতল ছুঁড়ে মারা হয়। এরপর চিকিৎসকরাও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তারা সুনির্দিষ্ট দাবি নিয়ে এসেছেন, দাবি মানলে চলে যাবেন বলেও জানান।